সরকারি বিদ্যালয়ে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত অপেক্ষমাণ তালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হচ্ছে আজ সোমবার (২৫ জানুয়ারি)। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো সরকারি স্কুলে সব শ্রেণিতে শিক্ষার্থীদের বাছাই কার্যক্রম শেষ হচ্ছে।
প্রথম তালিকার পর অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয় ২১ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকে, ২৫ জানুয়ারি তার শেষ দিন ছিল।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম টুকু বলেন, অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি শেষ হওয়ার মাধ্যমে সরকারি স্কুলের ভর্তির কার্যক্রম শেষ হচ্ছে। মোট কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে আঞ্চলিক, জেলা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসে চিঠি দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি কার্যক্রম এ মাসের মধ্যে শেষ হবে। সেসব প্রতিষ্ঠানে কত শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে সে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
গত ১৪ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) সরকারি মাধ্যমিক স্কুলে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি ২০ জানুয়ারির এবং অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ভর্তি ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়।
ভর্তিতে কোটা ও অন্যান্য সব কাগজ যাচাই করার নির্দেশ দেয়া হয়। ভর্তি নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছিল, লটারির ফলাফল অনুযায়ী নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মূল জন্মনিবন্ধন সনদ, মুক্তিযোদ্ধা কোটার ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সনদ, সংরক্ষিত কোটা থাকলে সে সংক্রান্ত কাগজ যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
এর আগে গত ১১ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে লটারির মাধ্যমে সারাদেশের ৩৯০টি স্কুলের ৭৭ হাজার ১৪৪ জন শিক্ষার্থীকে বাছাই করা হয়। সেই সঙ্গে সম-পরিমাণ অপেক্ষমাণ তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
জানা গেছে, এ বছর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের আওতাধীন সারাদেশের ৩৯০টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রথম থেকে নবম শ্রেণির ভর্তিতে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
ভর্তি কার্যক্রমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে মাউশির পরিচালক প্রফেসর বেলাল হোসাইন বলেন, ভর্তি নিয়ে নয়-ছয় করার কোনো সুযোগ ছিল না। পুরো ভর্তি কার্যক্রমটি আমরা অনলাইনে নজরদারি করছি। কোন স্কুলে কত আসনের বিপরীতে কতজন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে, কতজন বাকি আছে, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী কোটাসহ অন্যান্য কোটা মানা হচ্ছে কি-না সেগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে নজরদারি করা হচ্ছে।